চিনা বাদামের ১০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

চিনা বাদামের ১০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আমার আর্টিকেলটা আপনার জন্য। আমার আর্টিকেলে চিনা বাদামের ১০ টি স্বাস্থ্য  উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে চিনা বাদামের ১০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে  বিস্তারিত জানতে পারবে।    

কাজু  বাদাম খাওয়ার নিয়ম উপকারিতা এবং চিনা বাদামের ১০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আমার আর্টিকেলের বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবে। তাহলে দেরি না করে পড়া শুরু করুন। পেজ সূচিপত্র ঃ 

চিনা বাদামের ১০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আমি আমার আর্টিকেলে চিনা বাদামের উপকারিতা সম্পর্কে এবং বাদামের বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। চিনা বাদাম কাজু বাদাম পেস্তা বাদাম আরও অনেক বাদাম আছে আর এই বাদাম গুলো খেলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

চিনা বাদাম খেলে যেমন উপকার আছে তেমন অপকারিতা ও আছে। চিনা বাদাম খেলে যেমন স্বাস্থ্য ভালো থাকে। অন্য দিকে ডায়াবেটিসের রোগী এবং উচ্চ রক্তচাপের রোগী বাদাম খেলে তাদের শরীরে সমস্যা দেখা দেয়। চিনা বাদামের দশটি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

চিনাবাদাম হল উদ্ভিদ ভিত্তিক প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম চিনাবাদামে ২৫.৮ গ্রাম বা একজন ব্যক্তির দৈনিক প্রোটিনের চাহিদার প্রায় অর্ধেক। ফ্যাটি অ্যাসিড প্রতিটি খাদ্যের একটি অপরিহার্য অংশ। চিনাবাদামের বেশিরভাগ চর্বি হল মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা একটি স্বাস্থ্যকর ধরনের চর্বি।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাটের পরিবর্তে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ট্রাস্টেড সোর্স এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ট্রাস্টেড সোর্স গ্রহণ করা একজন ব্যক্তির রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করতে পারে। চিনা বাদামের দশটি স্বাস্থ্য উপকারিতা হল চিনাবাদাম খেলে

চিনাবাদামেও রয়েছে অল্প পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। স্যাচুরেটেড ফ্যাট অসম্পৃক্ত বা পলিআনস্যাচুরেটেডের চেয়ে কম স্বাস্থ্যকর। চিকিৎসার অত্যধিক স্যাচুরেটেড ফ্যাটকে কার্ডিওভাসকুলার রোগের সাথে যুক্ত করেন। ফলস্বরূপ তাদের সর্বোত্তম স্বাস্থ্য সুবিধা পেতে চিনাবাদাম পরিমিতভাবে খাওয়া ভাল।

চিনাবাদাম খাদ্যতালিকাগত ফাইবারের একটি ভালো উৎস। এগুলিতে প্রতি ১০০ গ্রাম ৪.৫ গ্রাম থাকে। যা একজন পুরুষের প্রস্তাবিত ফাইবার গ্রহণের প্রায় এক চতুর্থাংশ বা মহিলাদের জন্য এক তৃতীয়াংশ।আমেরিকানদের জন্য বর্তমান খাদ্যতালিকা নির্দেশিকা সুপারিশ করে যে প্রাপ্তবয়স্করা প্রতিদিন নিম্নলিখিত পরিমাণে ফাইবার পান।

চিনাবাদামের ত্বক প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রচুর উৎস এবং এতে ডায়েটারি ফাইবার থাকে। বিভিন্ন ধরনের রোস্ট করা চিনাবাদামের স্কিন, যেমন গাঢ়-ভুনা বা হালকা-ভুনা এগুলি বেশি পরিমাণে থাকে। আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পিনাট বাটার ইত্যাদি খাবার যোগ করলে এর পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়।

চিনাবাদামের মাখনে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় যা রক্তে অক্সিজেন পরিবহন এবং সুস্থ ও শক্তিশালী হাড়ের উন্নতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এটি উত্তোলিত তীব্র ওজনকে সমর্থন করে ।

একজন বডিবিল্ডারের পুষ্টির চাহিদার সাথে পুরোপুরি ফিট করে। চিনাবাদাম শক্তির একটি ভাল উৎস এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের সাথে আপনার শরীরকে শক্তিশালী করে।

পলি ফেনলিকের মতো অক্সিডেন্টগুলি চিনাবাদামে উচ্চ ঘনত্বে উপস্থিত থাকে। পি-কৌমারিক অ্যাসিডের পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। এটি কার্সিনোজেনিক নাইট্রাস অ্যামাইনগুলির উৎপাদন হ্রাস করে করা হয়।

চিনাবাদামের নিয়মিত সেবন চিনাবাদামে পাওয়া ম্যাঙ্গানিজের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেট শোষণে সাহায্য করে। এটি মানবদেহে রক্তে শর্করার মাত্রা আরও নিয়ন্ত্রণ করে।

কাজু বাদাম এক ধরনের বিজ। যার পুষ্টি গুন অনেক। কাজু বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম জিংক রয়েছে আরও অনেক গুনে গুন্নানিত বাদাম।

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়ম করে কাজু বাদাম খেলে শরীর সতেজ থাকে এবং আরও উপকার পাওয়া যায়। তবে কজু বাদাম সকাল ছাড়াও দিনের যেকোনো সময় খাওয়া যায়।

• কাজু বাদাম আমাদের সাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
• হার্ট ভালো রাখেঃ কাজু বাদামে থাকা অ্যাসিড, পটাসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আমাদের হার্ডের জন্য অনেক উপকারী।
• রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ কাজু বাদামে থাকা ফ্যাট পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
• ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ কাজু বাদামে আছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার এবং শর্করার পরিমাণ কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে কাজু বাদাম খুব উপকারী।
• হাড় মজবুত রাখেঃ হাড় শক্ত ও মজবুত করতে গলে প্রচুর পরিমানে কাজুবাদাম খেতে হবে। কারন কাজু বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে খনিজ উপাদান যা আমাদের হাড়কে মজবুত করে।
• কোস্টেরলঃ কাজুবাদাম খেলে আমাদের শরীর থেকে খারাপ কোস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

কাজু বাদামের উপকারিতা অনেক। কাজুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি পটাসিয়াম ফাইবার জিংক আয়রন এর মতো আরও অনেক উপাদান আছে। আপনি জানেন কি কাজু বাদাম খেলে শরীরের ক্ষতিও হতে পরে।তবে অনেক ক্ষেত্রে কাজু বাদাম খেলে শরীরের ক্ষতি হয়। 

পেটের সমস্যাঃযাদের পেটের সমস্যা আছে তাদের একেবারেই উচিত নয় কাজু বাদাম খাওয়া। হজমের সমস্যা থাকলে কাজু বাদাম খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। পেটের সমস্যায় যারা ভোগে কাজু বাদাম খেলে তা বেড়ে যেতে পারে।

• ওজন বেড়ে যাওয়াঃ কাজুবাদাম বেশি পরিমানে খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই তাদের কাজু বাদাম খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।
• এলার্জিঃ অনেক মানুষের এলার্জির সমস্যা আছে।তাদের কাজু বাদাম না খাওয়া উচিত কারন কাজু বাদাম খেলে এলার্জি বেড়ে যেতে পারে।
• কিডনিতে পাথর হয়ঃ কাজু বাদামে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ক্যালসিয়াম থাকে তাই অতিরিক্ত পরিমাণে কাজুবাদাম খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে।যাদের কিডনির সমস্যা আছে তাদের কাজুবাদাম না খাওয়াই উচিত।
• ফুসফুসের সমস্যা হয়ঃ কাজু বাদামে প্রচুর পরিমানে আয়রন থাকে আর যারা বেশি পরিমানে কাজুবাদাম খায় এই আয়রন গুলো ফুসফুসে জমা হয়ে সমস্যা দেখা দেয়।সেখান থেকে আবার হাঁপানির সমস্যা দেখা দেয় মানুষ জোরে জোরে নিশ্বাস নেয়।

শরীরে ও ত্বকের যত্নের জন্য কাঠ বাদাম অনেক উপকারী। নিয়মিত কাঠ বাদাম খেলে শরীরে অনেক উপকার পাওয়া যায়। ত্বকের যত্নের জন্য কাঠ বাদাম অসাধারন কাজ করে।কাঠ বাদামের তেম মুখে ব্যবহার করলে মুখে বয়সের ছাপ দূর হয় মুখের কালো দাগ দূর হয়।মুখের মেসতার দাগ দূর হয়। মুখ তাড়াতাড়ি ফর্সা করতে সাহায্য করে।

যাদের মাথার চুল পরে কাঠ বাদামের তেল দিলে চুল ঘন হয় পাকা চুল কালো করে।চুল পরা দূর হয়। কাঠ বাদামের তেল ত্বকে মালিস করলে রক্ত চলাচল সাভাবিক থাকে ও ত্বক সুস্থ থাকে। প্রতিদিন নিয়ম করে কাঠ বাদাম খেলে শরীর সতেজ থাকে ও বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

পেস্তা বাদাম খেলে শরীরের অনেক উপকার পাওয়া যায়। চোখের সমস্যা দূর হয়। পেস্তা বাদাম খেলে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে।পেস্তা বাদাম রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল মাএা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। পেস্তা বাদাম খাদ্যনালিতে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি করে। যার ফলে হজম ক্ষমতা বাড়ায় আর পেট পরিষ্কার থাকে। 

যারা ওজন বাড়াতে চায় নিয়মিত পেস্তা বাদাম খেলে তাদের ওজন বেড়ে যাবে। প্রতি রাতে ১ মুঠো পেস্তা বাদাম ভিজিয়ে রেখে খেলে চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পাবে।মিস্টি পায়েস আইসক্রিম কেক এসবের সাথে পেস্তাবাদাম মেশালে স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যায়। পেস্তা বাদাম অতি জনপ্রিয় একটি বাদাম।

কিন্তু অনেকর ভুল ধারনা আছে যে পেস্তা বাদাম খেলে পেট খারাপ হয় কিন্তু পেস্তা বাদাম হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। পেস্তা বাদাম খেলে শরীরে এনার্জি ফিরে আসে। টেনশন কমাতে সহায্য করে।তাছাড়া ও পেস্তা বাদাম রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। পেস্তা বাদাম খেলে ত্বক চুল চোখ হার্ড ভালো থাকে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

কাজু বাদামের দাম। বাংলাদেশে কাজু বাদামের ১ কেজির দাম ১৫৬০ টাকা। কাজু বাদামের চাহিদা বাজারে বেড়ে যাওয়ার কারনে তার দাম ও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান বাজারে ১০০ গ্রাম কাজু দাম ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। আবার কোনো কোনো গ্রাম অঞ্চলে১০০ গ্রাম কাজু বাদামের দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। 

তাছাড়া কাজু বাদাম পাইকাড়ি দামে কিনলে দাম আরও কম পাওয়া যায়। তাছাড়া কাজু বাদামের দাম বাজারে সব সময় এক রকম থাকে না, কখনো দাম বাড়ে আবার কখনো দাম কমে।তবে বর্তমান বাজারে ২৫০ গ্রাম কাজু বাদামের দাম ২৬০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে।

বাদাম সাধারণত ৪ প্রকার। কাঠ বাদাম, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম।

চিনা বাদামের ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে লেখকদের মন্তব্য