ত্বকের উজ্জলতা ফেরাতে ড্রাগন ফলের ব্যবহার জানলে অবাক হবেন

ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে ড্রাগন ফলের ব্যবহার জানলে আপনি অবাক হবেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে ড্রাগন ফলের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারছেন না। তাহলে আমার আর্টিকেল টি আপনার জন্য। আমার আর্টিকেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে ড্রাগন ফলের ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। 

ত্বকের উজ্জলতা ফেরাতে ড্রাগন ফলের ব্যবহার
ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে ড্রাগন ফলের ব্যবহার এবং ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। এ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল। আশা করি এটি পড়ার পর আপনি উপকৃত হবেন।পেজ সূচিপত্র ঃ 

ত্বকের উজ্জলতা ফেরাতে ড্রাগন ফলের ব্যবহার 

ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে ড্রাগন ফলের ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। ড্রাগন ফল একটি বিদেশি ফল কিন্তু এটি দেশেও চাষ করা হয়। আমার এ আর্টিকেল টি তে ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও ড্রাগন ফল দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

বিশ্বের মধ্যে সুন্দর এর দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে আছে ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি আছে। তাছাড়াও ড্রাগন ফলে অধিন পরিমাণে আইরন ও আশ থাকায় এটি পেটের চর্বি কামাতে সাহায্য করে। তাছারাও অনেক গুনে ভরপুর এ ড্রাগন ফল। 

ড্রাগন ফল দিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরানো যায়। ড্রাগন ফলের একটি পেস্ট তৈরি করে ত্বকে লাগিয়ে রেখে ২০ মিনিট পর ত্বক ধুয়ে নিলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।

ড্রাগন  ফল খাওয়ার উপকারিতা

ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে ড্রাগন ফলের ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। ড্রাগন ফল একটি বিদেশি ফল যা দেশেও চাষ করা হয়।এটি অত্যন্ত সুস্বাদু একটি ফল, তবে কেউ কেউ আছে যারা এই ফলটি খেতে পছন্দ করে না। ড্রাগন ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ।ড্রাগন ফলের যে বড় বৈশিষ্ট্য আছে তা হলো, ড্রাগন ফল ডায়াবেটিস ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ড্রাগন ফল খাবার ফলে মানুষের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে। যা মানুষের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে। তাছাড়াও ড্রাগন ফল ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ও ক্যারোটিনের চাহিদা পূরণ করে।
তাছাড়া ড্রাগন ফল খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয় যাদের শরীরে রক্তের ঘাটতি আছে ড্রাগন ফল খেলে তা পূরণ হয়। ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি আছে তাই ড্রাগন ফল খেলে ত্বক সতেজ থাকে।ড্রাগন ফল দিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা ও করা হয়ে থাকে।

ড্রাগন ফলের অপকারিতা

 ড্রাগন ফলের অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি।  ড্রাগন ফল খাওয়ার যেমন উপকার আাছে তেমনি আবার অপকার ও আছে। কোন মানুষ যদি অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খায় তবে তার এলার্জি ও হতে পারে। যাদের শরীরে চর্ম রোগের সমস্যা আছে তারা যদি অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খায় তাহলে তাদের এলার্জির সমস্যা দেখা দিবে। অতিরিক্ত ড্রাগন ফল একসাথে খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া সহ আরও অনেক রোগ দেখা দিতে পারে।
তাছাড়াও কিছু ড্রাগন ফল আছে যেগুলো তে মেডিসিন মেশানো থাকে, যা না চিনে খাওয়ার ফলে মানুষের মৃত্যু ও ঘটতে পারে। তাই ড্রাগন ফল খাওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে। তাছাড়া মেডিসিন দেওয়া ড্রাগন ফল দিয়ে রূপচর্চা করলে ক্ষতি হতে পারে।

ড্রাগন ফল চেনার উপায় 

ড্রাগন ফন চেনার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি।   ড্রাগন ফল বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।কোনো ড্রাগন ফল আছে যা দেখতে সাদা আবার কোনো ড্রাগন ফল আছে যা দেখতে লাল,হলুদ ইত্যাদি রংয়ের।তাছাড়া লাল ড্রাগন ফল দিয়ে রূপচর্চা করা হয়।ড্রাগন ফল বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো কোনো কৃষক আছেন যারা ড্রাগন ফল তাড়াতাড়ি বড় করার জন্য ক্ষতিকর মেডিসিন ড্রাগন ফলের গায়ে মেশানো হয়।
সেগুলো খেলে মানুষ নানা রকম ক্ষতিকর রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সেই মেডিসিন মেশানো ড্রাগন ফল চেনার উপায় হলো সেই ফলের গায়ের খোসা গুলো অনেক মোটা হবে, ড্রাগন ফলে পরিপূর্ণ লাল রং আসবে না। আর ভালো ড্রাগন ফলের খোসা টা হবে অনেক পাতলা আর গায়ের রং পরিপূর্ণ লাল হবে। আর ঐ ফল খেতে অনেক মিষ্টি হয়।

ড্রাগন ফল দিয়ে রূপচর্চা কিভাবে করে

ড্রাগন ফল দিয়ে রূপচর্চা কিভাবে করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে ড্রাগন ফলের ব্যবহার সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ত্বকের বিভিন্ন উপকার করে থাকে ড্রাগন ফল।ড্রাগন ফল দিয়ে রূপচর্চা করলে ত্বকের আদ্রতা যোগাতে সাহায্য করে ত্বক নরম রাখতে সাহায্য করে ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি ও জিংক থাকায় ত্বকের ব্রণ দূর করতে ড্রাগন ফল অনেক বেশি উপকারী।

ড্রাগন ফল ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে ত্বকে আরো সুন্দর করে তোলে । নমনীয় মসৃণ করে তোলে। ড্রাগন ফলের ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখার পর সেটাকে উঠিয়ে ফেললে মুখ উজ্জ্বল হয় ও মুখে থাকা বিভিন্ন ব্রণ মেছতা দূর হয়ে যায়। ড্রাগন ফলের রস মধুর সাথে মিশিয়ে কিছুক্ষণ মুখে লাগিয়ে রাখার ফলে ত্বকের ছোট ছোট দাগ ও বয়সের ছাপ দূর হয়ে যায়।

তাছাড়া ফেসপ্যাক ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হয়ে যেয়ে ঠোঁট গোলাপি রঙের হয়। তাছাড়া বিভিন্ন দোকানে ড্রাগন ফলের লোশন, ক্রিম, বডি ওয়াশ পাওয়া যায় যা ত্বকে মাখলে ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল হয়। ড্রাগন ফলের রস কাঁচা দুধের সাথে মিশে মুখে পরপর টানা সাতদিন লাগিয়ে রাখলে অনেক দ্রুত ফর্সা হওয়া যায়।

ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম

ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম।  ড্রাগন ফল বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। ড্রাগন ফলের জুস বানিয়ে, ড্রাগন ফলের কেক বানিয়ে, ড্রাগন ফলের জেলি বানিয়ে, খওয়া যায়। সকালে খাবার আগে ড্রাগন ফল খেলে শরীরে অনেক উপকার আসে। নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।

ড্রাগন ফলে বিভিন্ন উপাদান থাকে। ড্রাগন ফল শরীরের শক্তির জোগাতে ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া ড্রাগন ফল বিভিন্ন ভাবে মানুষ জন খেয়ে থাকে।

সাদা ড্রাগন ফল ও লাল ড্রাগন ফলের মধ্যে পার্থক্য 

সাদা ড্রাগন ফল ও লাল ড্রাগন ফলের মধ্যে পার্থক্য। ড্রাগন ফল বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। তার মধ্যে উল্লেখিত তিনটি রং হচ্ছে সাদা লাল ও হলুদ।তার মধ্যে সাদা ও লাল বেশি প্রচলিত। সাদা ড্রাগন ফল ও লাল ড্রাগন ফলের নাম একই হলেও এ দুটির মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তবে সাদা ও লাল এ দুটি টির মধ্যে লাল ড্রাগন মানুষকে বেশি আকর্ষণ করে কারণ এটির রং দেখতে অনেক সুন্দর হয়ে থাকে।
স্বাদের মধ্যে এই দুই রঙের ড্রাগন ফলের ও অনেক ভিন্নতা রয়েছে কারণ সাদাটার মধ্যে একটু টকটক ভাব থাকে আর লালটা অনেক মিষ্টি হয়ে থাকে। লাল ড্রাগন সাদা ড্রাগনের থেকে অনেক বেশি জনপ্রিয় কারণ এটি ফুড কালার হিসাবে খাবারে ব্যবহিত হয়।

ড্রাগন ফলের খোসার উপকারীতা 

ড্রাগন ফলের যেমন উপকারিতা আছে ঠিক তেমনিই তার খোসারও অনেক উপকারিতা আছে।এককথায় ড্রাগন ফল পুরো টাই অনেক পুষ্টিতে ভরপুর। তাই ড্রাগন ফলের খোসা ভুলেও ফেলে দিবেন না। 

ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের উপকারী জিনিস তৈরি হয়।কমলা লেবুর খোসা শুকিয়ে ও ড্রাগন ফলের খোসা শুকিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রূপচর্চা করা হয় । চেহারা অনেক সুন্দর হয় এবং ড্রাগন ফলের খোসা ত্বকের জন্য অনেক উপকারি। 

ড্রাগন ফলের খোসায় আছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন-এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, আরও অনেক ভিটামিন রয়েছে। তাছাড়া ও এই ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে তৈরি হয় রুপচর্চার বিভিন্ন ধরনের ফেইস প্যাক ।

লেখকের মন্তব্য 

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো আমার আর্টিকেল টি পড়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে ড্রাগন ফলের ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আমার আর্টিকেল টি আপনার ভালো লেগে থাকে।

তাহলে অবশ্যই আপনার আরও বন্ধু দের কাছে এটি শেয়ার দিবেন। আপনাদের আরও কোন বিষয়ে জানার থাকলে আমার অয়েব সাইড টি ভিজিট করবেন। আর আমার ওয়েব সাইড ভিজিট করে আমার পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url