বেগুন চাষের আধুনিক পদ্ধতি ও ফলন বৃদ্ধির ২ টি টিপস্
বেগুন চাষের আধুনিক পদ্ধতি ও ফলন বৃদ্ধির ২ টি টিপস্ সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমার আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল। আমার আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়লে বেগুন চাষের আধুনিক পদ্ধতি ও ফলন বৃদ্ধির ২ টি টিপস্ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
বেগুন চারা চাষ পদ্ধতি এবং বেগুন চাষের আধুনিক পদ্ধতি ও ফলন বৃদ্ধি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আমার এই আর্টিকেলটিতে। আশাকরি আপনি আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। পেজ সূচিপত্র ঃ
বেগুন চাষের আধুনিক পদ্ধতি ও ফলন বৃদ্ধির ২ টি টিপস
বেগুন চাষের আধুনিক পদ্ধতি ও ফলন বৃদ্ধি ২ টি টিপস্ সম্পর্কে আমার আর্টিকেল আলোচনা করা হলো। বেগুন একটি বাংলাদেশের সবজি অনেক কৃষকেরা আছে যারা বেগুন চাষ করে থাকেন। বেগুন বাংলাদেশের প্রায় মানুষের পছন্দের খাবারের তালিকায় আছে আবার কেউ কেউ আছেন যারা বেগুন সবজিটি কে পছন্দ করেন না।
বাংলাদেশে অনেক কৃষক আছে যারা বেগুন চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তো আমার এই আর্টিকেলটিতে বেগুন চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করেছি ও কি করলে বেগুন ফলন বৃদ্ধি পাবে সে সম্পর্কে নিজে আলোচনা করা হয়েছে। বেগুন বাংলাদেশে বেগুন নামে পরিচিত।
একটি উচ্চ মূল্যের ফসল যা সারা দেশে ব্যাপকভাবে জন্মায় এবং খাওয়া হয়। বাংলাদেশে প্রায় ১৫০,০০০ কৃষক বেগুন চাষ করে এবং এটি খাওয়ার পরিমাণের দিক থেকে দেশের ফসলের মধ্যে আলু এবং ধানের পরে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এটি বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ধাঁধার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
বেগুন সবজি এবং অঙ্কুর বোরার পোকার জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল। FSB হল একটি মথ যার লার্ভা বেগুনের কান্ড এবং ফলের মধ্যে প্রবেশ করে। সংক্রমণের ফলে ৮৬% পর্যন্ত ফলন ক্ষতি হতে পারে। যা ফিড দ্যা ফিউচার কাজ করে এমন ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য একটি বিধ্বংসী আঘাত।
এই কীটপতঙ্গের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কৃষকরা তাদের ফসলে বিষাক্ত কীটনাশক দিয়ে প্রচুর পরিমাণে স্প্রে করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে কৃষকরা প্রতি মৌসুমে ২৩ বার থেকে ১৪০ বার পর্যন্ত স্প্রে করে। এই তীব্র পরিমাণে স্প্রে করা কৃষক তাদের পরিবার ফলের ভোক্তা এবং পরিবেশের স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
এই ভয়ঙ্কর কীটপতঙ্গ মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট মহারাষ্ট্র হাইব্রিড সিডস কোং প্রাইভেট লিমিটেড সহ বিভিন্ন অংশীদারদের একটি সেট। কর্নেল ইউনিভার্সিটি এবং ফিড দ্য ফিউচার একটি প্রোটিন সহ বেগুনের জাত উদ্ভাবন করেছে যা এফএসবি থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।
যা এফএসবি সংক্রমণ এবং বিষাক্ত কীটনাশকের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করার উদ্দেশ্যে।
বিটি বেগুনের কার্যকারিতা
ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এর সহায়তায় এবং বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এখন বাংলাদেশে বিটি বেগুন প্রযুক্তির প্রভাবের একটি স্বাধীন প্রভাব মূল্যায়ন সম্পন্ন করেছে।
কীটপতঙ্গের উপদ্রব কীটনাশক ব্যবহার ফসলের ফলন খরচ রাজস্ব এবং স্ব-প্রতিবেদিত স্বাস্থ্য ফলাফলের উপর বিটি বেগুনের প্রভাব। বিটি বেগুন কীভাবে কৃষকদের জীবনে প্রকৃত উন্নতি ঘটাতে পারে তার উত্তেজনাপূর্ণ ফলাফল এই গবেষণায় দেখা যায়।
বিটি বেগুনের ফলন বৃদ্ধি
বিটি বেগুনের ফলন বৃদ্ধি ও বেগুন চাষের আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
- এফএসবি সংক্রমণ ৯৮% হ্রাস
- ব্যবহার করা কীটনাশকের পরিবেশগত বিষাক্ততা ৫৬% হ্রাস
- বিটি বেগুন চাষের পরিবারের ব্যক্তিদের মধ্যে কীটনাশক এক্সপোজারের সাথে সম্পর্কিত স্ব-প্রতিবেদিত লক্ষণগুলির ১০% হ্রাস
- ৪২% ফলন বৃদ্ধি
- প্রতি হেক্টর লাভে ৪০০ বৃদ্ধি
- স্কেল আপ এই ফলাফলগুলি বোঝায় যে বিটি বেগুনের চাষ দেশব্যাপী ২৩০,০০০ লিটারের বেশি কীটনাশক প্রয়োগ রোধ করতে পারে।
বেগুনচারা চাষ পদ্ধতি
বেগুন চাষ করার জন্য প্রথমে জমি নিরধারন করতে হবে । যে জমিতে বেগুন চাষ করা হবে
সে জমি যেন বেশি সেতসেতে না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে । তারপর জমির মাটি গুলো
ঝুরঝুরে করে নিতে হবে শেখানে বেগুন বীজ বপন করতে হবে । ৩৫-৪০ দিনের মাথাই বেগুন
গাছের চারা গুলো বের হবে ।
আরও পড়ুন ঃ
পটল খেলে ওজন কমে
তারপর বেগুন চারা গুলোর গোরাই পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিতে হবে । তারপর বেগুন চারা গুলো
জমি থেকে তুলতে হবে তবে খেয়াল রাখতে বেগুন চারার সেকর যেন ছিরে না যাই । যে জমিতে
বেগুন চাষ করা হবে সে জমিতে চারা গুলো লাগাতে হবে ।তারপর নিয়মিত পানি দিতে হবে আর
আস্তে আস্তে চারা গাছ গুলো বড় হয়ে যবে। নিয়মিত সার প্রয়োগ করতে হবে তাহলে অতি
দ্রুত ফলাফল পাওয়া যাবে।
কি ভাবে বেগুন চাষ করা হয়
বেগুন চাষ করার জন্য বেলে দোআঁশ পলি মাটিতে ভালো হয় । তাছাড়া সূর্যের আলো বাতাস
লাগে এমন যে কোন জমিতে বেগুন চাষ করা হয় । তবে পানি জমে থাকে এমন জমিতে বেগুন চাষ
করা যাবে না । বেগুন চাষের জমিতে পানি সেচ দিতে হবে নিওমিত জৈব সার ও কীটনাশক
দিতে হবে । ঠিকমত পরিচর্যা করলে ভালো ফোলন পাওয়া যাবে ।
আরও পড়ুন ঃ
টবে কিভাবে পটল চাষ করা হয়
তাছাড়া যাদের জায়গা জমি নেই তারা ছাদে কিংবা বাড়ির আশে পাশে টবে বেগুন খুব সহজেই
চাষ করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে যেকোনো ধরনের টব নির্বাচন করতে হবে। তারপর সেখানে
মাটি প্রস্তুত করতে হবে। কিছু দিন পর সেখানে চারা গাছ লাগাতে হবে আর নিয়মিত পানি
সার দিয়ে চারা গাছ গুলোর যত্ন নিতে হবে।
বেগুনের ফোলন কি ভাবে দিগুন হবে
বেগুনের ফোলন পেতে সঠিক নিয়মে চাষ করা প্রয়োজন । বেগুনের গাছে নিয়মিত পানি ও সার
দিতে হবে খেয়াল রাখতে হবে যেন জমিতে পানি বেধে না থাকে। ফলে গাছের গোরা পচে যাবে।
ভাল ফলন এর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ভালো চারা গাছ নির্বাচন করতে হবে । ভাল ফলন এর
জন্য ন্যপথন বরি পানির সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন ঃ
অতিরিক্ত পটল খেলে কি হয়
যেন জমিতে পোকামাকড় না আসে আর গাছের ক্ষতি করতে না পারে ।বেগুন গাছে জৈব সার
কীটনাশক নিয়মিত ব্যবহার করলে ভাল ফলন পাওয়া যায় । ডিমের খোসা গুড়ো করে বেগুন গাছে
দিলে ফলন বৃদ্ধি হয় । বেগুনের ফল দিগুণ পাওয়ার জন্য নিয়মিত জামিতে সেচ দিতে হবে,
সার প্রয়োগ করতে হবে।
খেয়াল রাখতে হবে যেন গাছের গোড়ায় যেন পানি যমে না থাকে। বেগুনের বিভিন্ন ধরনের
পোকা থাকে সেখানে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে যেন সেই পোকাগুলো মারা যায়।
বেগুন গাছ গুলো তে এমন কীটনাশক প্রয়োগ কতে হবে যেন তারাতাড়ি ভালো ফলন পাওয়া যায়।
নয় টি জাতের বেগুন
- বারি বেগুন
- তাল বেগুন
- নয়ন কাজল বেগুন
- কেজি বেগুন
- ঝুমকো বেগুন
- শিংনাথ বেগুন
- খটখটিয়া বেগুন
- ঈশ্বরদী বেগুন
- উত্তরা বেগুন
বেগুনের বইশিষ্ট
বেগুন সাধারনত একটি বারো মাসি সবজি । এই সবজি সব সময় বাজারে পাওয়া যায় ।এটির রং
সবুজ, সাদা,বেগুনি হয়ে থাকে। একটি গাছে সাধারনত ছয় থেকে বারো টির মত বেগুন ধরে
থাকে। বেগুনের জাত অনুযায়ী গাছের উচ্চতা হয়।
এই বেগুন আমরা সবজি হিসেবে খেয়ে
থাকি। এই সবজি বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। বেগুন নানা ধরনের হয়ে থাকে সেখানে বেগুনের গাছ অনুযায়ী বেগুনের আাকর আকৃতি ভিন্ন
হয়ে থাকে। বিভিন্ন জাতের বেগুন বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।
কোনো কোনো বেগুন আছে যার
রং সাদা আবার কোনোটা বেগুনি রংয়ের, আবার কোনো টা সাদা সবুজ এ মিশ্রণ। আবার কিছু
কিছু বেগুন আছে যার আকৃতি অনেক লম্বা, আবার কিছু বেগুন আছে যা আকৃতিতে অনেক খাটো।
সাধারনত লম্বা বেগুনের গাছে বেশি পোকা হয়ে থাকে তার কারনে এখানে বেশি পরিমানে
কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। আর কিছু বেগুনের গাছে ভালো বেগুন আাসে না তার কারন চারা
নির্বাচন করা। ভালো মানের চারা যদি নির্বাচন করা না হয় তবে বেগুনের ফলনও ভালো
আাসে না। তাই অবশ্যই ভালো মানের চারা নির্বাচন করতে হবে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো আমার আর্টিকেল টি পড়ে বেগুন চাষের আধুনিক পদ্ধতি ও ফলন বৃদ্ধির ২টি টিপস্ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আমার আর্টিকেল পড়ে বেগুন চাষের আধুনিক পদ্ধতি ও ফলন বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য খুজে পেয়ে থাকেন।
তাহলে আমার আর্টিকেল টি আপনার বন্ধু দের কাছে শেয়ার করে দিবেন। আর আমার ওয়েব সাইড থেকে নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েব সাইড ভিজিট করে আমার পাশে থাকবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url