নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জেনে নিই

নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিন। তাহলে আমার এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমার আর্টিকেলের নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আমার আর্টিকেলটি মনযোগ সহকারে পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন। 
নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জেনে নিই
নিম পাতা আর কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয় এবং নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আমার আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছি। আমার আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে পড়া শুরু করুন। 

নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় 

নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। নিম গাছের পাতা থেকে শুরু করে ছাল ,শেকড় সব কিছুই পুষ্টি গুনে ভরপুর। নিম গাছ অনেক উপকারি একটি গাছ। নিম গাছ আমরা ঔষধি গাছ হিসাবে ব্যাবহার করে থাকি। 

নিম গাছ মানুষ ঔষধি গাছ হিসেবে ব্যাবহার করে মানুষের অনেক উপকার হয়।নিম গাছের পাতার বিশেষ গুণ হলো নিম পাতা আর কাঁচা হলুদ ত্বকে লাগালে ত্বক ফর্সা হয়। আর খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে অনেক রোগ দুর হয়।

নিম গাছের বিশেষ উপকারিতা

প্রতিদিন সকালে কেউ যদি খালি পেটে নিয়মিত নিম পাতা খায় তবে তার বিশেষ উপকারিতা পাওয়া যায়। ওজন কমানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগ ভালো করতে সাহায্য করে এছাড়া পেটে ব্যথা গ্যাস চোখের সমস্যা , দাতের মাড়ি ফুলা, লিভারের সমস্যা ইত্যাদি দূর করে।

নিম পাতায় আছে প্রচুর পরিমানে অ্যানটিবাটিক উপাদান যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিদ্ধি করতে সাহায্য করে । 
নিম পাতায় প্রোটিন ,ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি পাওয়া যাই।তাই বিভিন্ন দেশের মানুষ বিশ্বাস করে যে নিম পাতা অনেক রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যাবহার হয়ে থাকে। তাছাড়াও নিম পাতা মাথার চুলকানি দূর করে ,চুল পরা বন্ধ করে ও বিভিন্ন কাজ করে থাকে ।নিম পাতার সাথে কিছু উপাদান মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে ত্বকে লাগালে  ত্বক ফর্সা হয়। 

নিম পাতার ব্যবহার

কেউ যদি নিম পাতা রোদে সুকিয়ে গুড়ো করে সকালে খালি পেটে খায় তবে তার গ্যাস এর সমস্যা ভাল হবে। নিম পাতার রস করে কেউ যদি মাথার ত্বকে লাগায় তবে মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে ।

চুল পরা বন্ধ হয় ,মাথার চুলকানি দূর হয় । নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়া যায়। নিম পাতার সাথে কিছু উপাদান মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে ফর্সা হওয়ার কার্যকারি একটি উপাদান। 

চর্ম রোগের নিম পাতার ব্যবহার

নিম পাতা ব্যক্টেরিয়া বিরোধী কাজ করে। ত্বকের চর্মরোগের জন্য অন্তত্য কার্যকরি উপাদান।ত্বকে চর্মরোগ হলে কয়েকটি কাচা নিম পাতা পানিতে দিয়ে পানি গরম করতে হবে, গরম পানি চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে। তারপর ঐ পানি দিয়ে ৩ দিন গোসল করার পর অতি তাড়াতাড়ি চর্মরোগ নিরাময় হবে।


একটি পাএে ৩ লিটার পানি নিতে হবে ঐ পানি তে ২/৩মুঠো নিম পাতা দিতে হবে তারপর চুলায় সিদ্ধ করতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত নিম পাতা সিদ্ধ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সিদ্ধ করতে কবে তারপর পানি টি ছাঁকনি দিয়ে ছেকে বোতলে সংরক্ষণ করতে হবে।ঐ সংরক্ষণ করা পানি গোসল করা পানির সাথে মিশিয়ে গোসল করলে চর্মরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

নিম পাতা ও কাচা হলুদ মুখে দিলে কি হয়

নিম পাতা ও কাচা হলুদ নিয়মিত মুখে লাগানোর ফলে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায় মুখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যাই নিম পাতা ও কাচা হলুদ মুখে লাগালে। মাএ তিন দিনে মুখ ফর্সা হয়ে যায়। নিয়মিত নিম পাতা ও কাচা হলুদ মুখে লাগালে চেহারা সুন্দর হয়। 

ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায় স্কিন টন ভালো থাকে।চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়।মুখের বিভিন্ন ছোপ ছোপ দাগ দূর করে। মেছতা বয়সের ছাপ দূর করে মুখ ভিতর থেকে ফর্সা হয়। নিম পাতা ফর্সা হওয়ার জন্য অনেক ভালো একটি ঘরোয়া উপাদান। 

নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

ত্বক ফর্সা করার জন্য নিম পাতার ভূমিকা অপরিসীম তাছাড়াও বিভিন্ন ক্ষত স্থান শুকাতে নিমপাতা সাহায্য করে মুখের মধ্যে বিভিন্ন ছোপ ছোপ দাগ,মেসতা, মুখের বলিরেখা মুখে বয়সের ছাপ দূর করে থাকে নিম পাতা।

তাছাড়া ও বাড়িতে ঘরোয়া ভাবে বিভিন্ন ধরনের সাবান ফেইস প্যাক তৈরি করা যায় নিম পাতা দিয়ে।প্রথমে নিম পাতা বেটে রস বের করে কিছু পরিমানে সোপ বার নিয়ে চুলার তাপে কিচ্ছুক্ষন নাড়িয়ে নিতে হবে।
তার পর সোপবার টি গলে গেলে তার সাথে নিম পাতার রস গুলো মেশাতে হবে। তারপর একটি সোপবোল নিয়ে নিম পাতার মিশ্রণ টি সোপবোলে ঢালতে হবে।কিছুক্ষণ এর জন্য ওটা কে ফ্রিজে সেট করতে দিতে হবে। 

৩০ মিনিট পর ফ্রিজ থেকে বের করলে তৈরি হয়ে যাবে নিম পাতার সাবান।তারপর টানা ৭ দিন এ সাবান মুখে দিলে মুখের বিভিন্ন দাগ দূর হয়ে গিয়ে মুখ ফর্সা হবে।

খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয় 

নিম গাছের প্রায় সব অংশই অনেক অনেক উপকারী। ডাল, পাতা ডগা,শেকড়,চামড়া সবই ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।নিম গাছ এমন গাছ যার সবই মানুষের দৈন্দিন জীবনের বহু কাজে লাগে। কাচা নিম পতার রস কেউ যদি খালি পেটে প্রতিদিন খায় তবে তার রক্ত পরিষ্কার থাকে।
গ্যাসস্টিকের সমস্যা দূর হয়, হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে কাশি ভালো করে ইত্যাদি।তাছাড়া ও পেটের ভিতরের ক্ষত নিরাময় করতে সাহায্য করে। কৃমির সমস্যা ভালো করে বমি বমি ভাব দূর করে।মুএনালির সংক্রমণ কমাতেও নিম পাতা দারুন কাজ করে। তাই দৈনিক নিম পাতা খাওয়ার অভ্যাস গরে তুলুন।আর সুস্থ থাকুন

ব্রনের জন্য নিম পাতার ব্যবহার

মুখে যদি অধিক পরিমানে ব্রন হয় তবে নিম পাতার একটি ফেইস প্যাক মুখে লাগানোর ৮/১২ দিনের মধ্যে সব ব্রন ভালো হয়ে যাবে।তার জন্য প্রথমে কিছু তাজা নিম পাতা বেটে নিতে হবে তার সাথে কিছু কাচা হলুদও বেটে নিতে হবে এবার নিম পাতা ও হলুদ এর মিশ্রণ টি এক সাথে মিশিয়ে নিতে হবে।

তারপর মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। তার পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে টানা ১২ দিন ব্যবহার এর করলে মুখের সব ব্রন দূর হয়ে যাবে। সাথে চোখের নিচের বলি রেখাও দুর হবে।প্রতিদিন নিম পাতার সাথে কাচা হলুদ ত্বকে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেক বৃদ্ধি পায়।

নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আমার মন্তব্য 

প্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো আমার আর্টিকেল টি পড়ে নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেয়ে থাকলে।

আপনার বন্ধু দের কাছে আমার আর্টিকেল টি শেয়ার করে দিবেন। আরও নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েব সাইড ভিজিট করে আমার পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url